রুহুল আমীন নগরী,সিলেট রিপোর্ট: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেক্রেটারী মরহুম হাফিজ মাওলানা ওমর ফারুক দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হলেন।মাসখানেক আগে তিনি কিডনী জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান রেখেযান। অতিঅল্প বয়সেই পৃথিবী থেকে চলেগেলেন হমর ফারুক । তার মৃত্যুর কযেক মাসের মধ্যেই আরেকটি কন্যা সন্তান প্রসব করলেন তার স্ত্রী। যে কোন সন্তানের আগমনই পিতা মাতার জন্য নিয়ে আসে আনন্দ । কিন্তু আজ হাফিজ ওমর ফারুক বিহীন এই সংসারে কেমন আনন্দ তা ভুক্তভোগি ছাড়া অন্য কেউ উপলব্ধি করতে পারবেননা।প্রতিটি মা’ই সন্তানের চেহারা দেখে আনন্দিত হয়, কিন্তু ওমর ফারুকের স্ত্রীর মুখে হয়তো সেই হাসি নেই। সদ্য স্বামী হারা সেই ”মা’য়ের চোখে অশ্রুবান!
জমিয়ত নেতা মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ আরমান সিলেট রিপোর্টকে জানান, আজ (১৪ আগষ্ট) রাত দশটায় মরহুম মুফতী ওমর ফারুক এর ঘর আলো করে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে৷ রক্ত দেয়ার জন্য আমি বিকাল পাঁচটা থেকেই মনোয়ারা হাসপাতালে ছিলাম৷ ইতোমধ্যে দেখা হলো ওমর ফারুকের বড় মেয়ে ছয়বছর বয়সী হুমায়রার সাথে৷ কথাও হলো অনেক৷ বাবার কথা উঠতেই একদম চুপ হয়ে গেলো৷ আমাকে বলল, “আপনাকে আমি চিনি৷ আব্বুর মোবাইলে আপনার অনেক ছবি দেখেছি৷” আমি যতোবার এই ফুটফুটে মেয়েটির চোখে তাকিয়েছি, আমার মনে হয়েছে আমি ওমর ফারুককে দেখছি৷ কারণ হুমায়রার চোখ অবিকল ওর বাবার মতো৷ আমার সাথে হাসপাতালে আরো ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুহাইল আহমদ এবং সিলেট কানাইঘাটের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আলিমুদ্দীন৷ ওমর ফারুকের দুই এতিম গোলাপকলি ছয়বছরের হুমায়রা এবং সদ্যজাত মেয়ের দিকে তাকিয়ে আমার বুকটা হাহাকার করে উঠেছে৷ তবে সেই ওয়াদাও মনে আছে, ইনশাআল্লাহ আমরা ওমর ফারুকের পরিবার বিশেষত দুটি সন্তানের পাশে সবসময় সাধ্যমতো থাকবো৷’