ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম এবং দাওয়াতে তাবলীগের মুরব্বীদের অংশগ্রহণে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলমের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
উলামা সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে ৭ দফা দাবী পেশ করা হয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে-
এক.
গত ১ ডিসেম্বর শনিবার টঙ্গী ময়দানে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত ওয়াসিফুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন নাসিম, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও ইউনুস সিকদার এবং তাদের অনুসারীদেরকে কাকরাইল মসজিদে ঢুকতে না দেয়ার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দুই.
বিশ্ব ইজতেমার নির্ধারিত তারিখ ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারী ২০১৯ (প্রথম পর্ব) এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারী (দ্বিতীয় পর্ব) এখনি চুড়ান্ত করে ইজতেমার জন্যে ময়দান তৈরী করার সুযোগ দিতে হবে।
তিন.
নতুন এই সমস্যার প্রধান সা’দ এবং তাঁর বাংলাদেশি অনুসারীদের দলের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ ফাতাওয়া তৈরী করে ব্যাপকভাবে প্রচার করা।
চার.
দাওয়াত ও তাবলিগে সৃষ্ট সঙ্কটের ওজাহাত এবং টঙ্গী ময়দানের ঘটনার বিবরণ ও বাস্তবচিত্র তুলে ধরা অব্যাহত রাখা।
পাঁচ.
প্রত্যেক এলাকায় উলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের সাথীরা সমন্বিতভাবে বেশির থেকে বেশি জামাত বের করার ফিকির করা এবং নামায ও দু’আর ইহতেমাম করা।
ছয়.
সা’দপন্থীরা নিজেদেরকে এতাআতী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। সুতরাং যার এতাআতে থেকে টঙ্গী ময়দানে বর্বর হামলা চালিয়েছে- তা উদঘাটন করতঃ তাকে বিচারের আওতায় আনা।
সাত.
আগামী সাতদিনের মধ্যে সরকারের কাছে পেশ করা দাবীসমূহ পূরণ না হলে পরবর্তীতে আমরা কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।
বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আশরাফ আলী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কাকরাইল মসজিদের প্রধান মুরব্বী মাওলানা মুহাম্মদ জোবাইর, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শেখ আহমদ, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা আব্দুল বাছির, মাওলানা মুবারক উল্লাহ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়জী, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ ফরিদী, মাওলানা উমর ফারুক, মুফতি জসিমুদ্দীন, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জোবাইর আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আনাস মাদানী ও মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।