সিলেটবুধবার , ৩ এপ্রিল ২০১৯
  1. Breaking News
  2. অন্যান্ন
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আজ-কাল
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আমাদের পরিবার
  9. আরও
  10. আলোচিত সংবাদ
  11. ইসলাম
  12. কলাম
  13. কৃতিত্ব
  14. খেলা-ধোলা
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শপথ নিয়ে যা বললেন মোকাব্বির খান

Ruhul Amin
এপ্রিল ৩, ২০১৯ ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট: সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন গণফোরামের মোকাব্বির খান। গতকাল তাকে শপথ পড়ান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। দল এবং জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এর আগে শপথ নিয়েছিলেন গণফোরামের হয়ে নির্বাচন করা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। মোকাব্বির খান নির্বাচন করেন দলীয় প্রতীক ঊদীয়মান সূর্য প্রতীকে। শপথ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোকাব্বির খান জানান, দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি শপথ নিয়েছেন। এসময় তিনি দলের প্যাড চুরির অভিযোগকারীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও দাবি করেন।
জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, হুইপ ইকবালুর রহিম, মাহবুব আরা বেগম গিনি ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আবদুল লতিফ, আবদুস সোবহান গোলাপ ও আব্দুস সালাম মুর্শেদী উপস্থিত ছিলেন। শপথ গ্রহণ শেষে সংসদের লবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোকাব্বির খান শতভাগ বিরোধী দলীয় ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বলেন, আমি যে সংসদীয় এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছি, সেই এলাকার জনগণের কথা বলবো। আমি সারাদেশের মানুষের কথা ভেবে, মানুষের চিন্তাভাবনা ও আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। দলের প্যাড চুরির অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের বিতর্কের সুযোগ নেই। আমার মনে হয়, বিশেষ কারো অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন করতে না পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এটা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি দল থেকে অনুমতি নিয়েই এখানে এসেছি। আমার ৭ই মার্চ শপথ নেয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমার দলের প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৭ই মার্চ বাদে অন্য যে কোন দিন শপথ গ্রহণের। তখন যে প্যাডে যে প্রক্রিয়ায় সংসদে চিঠি দিয়েছিলাম, একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একইভাবে সংসদে চিঠি দিয়ে শপথ গ্রহণ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে মোকাব্বির খান বলেন, দেশে তো কত ধরনের অপরাজনীতি হচ্ছে। হয়তো কেউ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, নতুবা অপরাজনীতির মানসিকতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের ফায়দা হাসিলের জন্য এসব করে যাচ্ছেন। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এসময় তার পাশে থাকা গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মেজর (অব.) আমিন আহমেদ আফসারী দলীয় সিদ্ধান্তের কাগজপত্র সাংবাদিকদের দেখান। ঐক্যের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিএনপিকে ছাড়াই শপথ গ্রহণে ঐক্যফ্রন্টে কোন প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে বলেন, আমি বিএনপি করি না। আমি গণফোরাম করি। আমি ঐক্যের প্রার্থীও ছিলাম না। আমি গণফোরামের মনোনয়ন নিয়ে সূর্য মার্কায় নির্বাচন করেছি। তাহলে গণফোরামের যে ঐক্য ছিল? মোকাব্বির বলেন, গণফোরামের সঙ্গে বিএনপি’র একটা নির্বাচনী ঐক্য ছিল, কিন্তু আমি ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে নির্বাচন করিনি। আমি করেছি পিওরলি গণফোরাম থেকে, দলের প্রতীক নিয়ে। আমার অবস্থান সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন। আমি ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করিনি। সংসদে গণফোরাম কি বিরোধী দলের অবস্থান নিচ্ছে এমন প্রশ্নে মোকাব্বির খান বলেন, গণফোরাম শতভাগ বিরোধী দলের অবস্থানে থাকবে। আমি জনগণের কথা বলব। জনগণের যে বক্তব্য সেগুলো তুলে ধরব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন প্রার্থী বিজয়ী হন। এর মধ্যে ৬ জন বিএনপি’র ও দুইজন গণফোরামের। বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন ও মোকাব্বির খান সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের প্রতীক ঊদীয়মান সূর্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তাদের জোটের ভরাডুবি হওয়ায় নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে তারা শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করেন। গত ৩রা জানুয়ারি অন্যান্যদের সঙ্গে তারা শপথ না নিলেও ৭ই মার্চ শপথ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন সুলতান মনসুর। বাকি ৬ জন নির্বাচিত সদস্য শপথ না নিলে আগামী ৩০শে এপ্রিলের পর তাদের আসন শূন্য হবে।