সিলেট রিপোর্টঃ সিলেটের প্রখ্যাত বুযুর্গ শায়খুল হাদীস শায়খ আব্দুস শহীদ গলমুকাপনী আর নেই। তিনি বুধবার দিবাগতরাত ২-৩০ মিনিটের দিকে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন।
মরহুমের ছেলে নয়াসড়ক জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন মৃত্যুর সংবাদ সিলেট রিপোর্টকে নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো প্রায় ৮০ বছর। ৪ ছেলে,৬ মেয়ে সহ হাজার হাজার ছাত্র,ভক্ত মুরিদান রেখেযান তিনি। তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
তিনি ঐতিহ্যবাহী জামেয়া দারুস সুন্নাহ গলমুকাপনের মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস ছিলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ছিলেন। জমিয়তের প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে ১৯৯৬ সালে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচনও করেছিলেন।
খলিফায়ে মাদানী শায়খ লুৎফুর রহমান বর্নভী রাহ. -এর খলিফা ও বেয়াই ছিলেন৷ এছাড়া শায়খ আব্দুল করীম কৌড়িয়া রাহ. ও শায়খ তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী রাহ. -এরও বেয়াই ছিলেন।
জামেয়া হুসাইনিয়া গহরপুরের ফাযিল এবং শায়খে গহরপুরী রাহ. -এর আস্থাভাজন শিষ্য ছিলেন৷ উস্তাযুল বুখারী ছিলেন। সহজ সরল মানুষ ছিলেন। দুনিয়া বিমুখ ছিলেন। জীবনভর বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে দ্বীনী খিদমাত করেছেন।
শায়খে গলমুকাপনী ১৯৪১ সালে সিলেটের বালাগন্জ উপজেলার
গলমুকাপন গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি প্রথমে গলমুকাপন মাদরাসায় ভর্তি হন। পরে জামেয়া হোসাইনিয়া গহরপুর থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন।
তার উস্তাদগনের মধ্যে আজাদ দ্বীনি এদারা বোর্ডের দীর্ঘ দিনের নাজিম মাওলানা ফখরুদ্দীন ও শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর উদ্দীন আহমদ গহরপুরী (র)।
১৩৮৪ হিজরি সন থেকে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত গলমুকাপন মাদরাসায়
শিক্ষকতার মহান পেশায় যুক্ত ছিলেন। তার চাচা
মাওলানা ফখরুদ্দীন (র) এর ইন্তেকালের পর থেকে তিনি মুহতামিমের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দের শোকঃ
জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আল্লামা আব্দুস শহীদ শায়খে গলমুকাপনীর ইন্তেকাল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভারপাপ্তসভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দীন, মহাসচিব মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী।