সিলেট রিপোর্ট :
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে তাক্বওয়া ও নীতি-নৈতিকতা অর্জনে মাহে রমাযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় আল-কাসিম মিলনায়তনে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মাহবুবুল আলম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এখলাসুর রহমান রিয়াদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের অন্তরে যখন আল্লাহর ভয় আসবে তখন সমজে আদর্শ ফিরে আসবে। এজন্য সর্বপ্রথম যে জিনিসের প্রয়োজন, তা হলো- তাক্বওয়াওয়ালা পরহেজগার ব্যক্তি তৈরী করা। আমরা যদি তাক্বওয়াবান ব্যক্তি তৈরী করতে পারি তাহলে সমাজ থেকে অন্যায়, অশান্তি দূরিভুত হয়ে যাবে। একজন তাক্বওয়াবান ব্যক্তি কস্মিনকালেও অন্যায়্যকে প্রশ্রয় দিতে পারেনা। এজন্য সর্বপ্রথম ছাত্র জমিয়ত নেতাকর্মীদের তাক্বওয়ার সবক গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, একজন আদর্শবান ছাত্র আগামীর পৃথিবীর কর্ণধার। ছাত্র জমিয়তের কাছে আমার আহ্বান থাকবে- তারা যেন সর্বপ্রথম নিজে তাক্বওয়াওয়ালা সিফাত অর্জন করে, এরপর একাডেমিক পর্যায়ে এই মিশন বাস্তবায়নে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি’সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তাক্বওয়ার মেহনতের ছড়িয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন, তাকওয়াপূর্ণ নেতৃত্বের এই মিশনে আমরা যদি সফল হতে পারি তাহলে আগামীতে আমাদের জন্য একটি আদর্শ সমাজ অপেক্ষা করছে। যে সমাজে কোন দূর্নীতি, মারামারি, রাহাজানি, চুরিডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ঘুষ, অন্যায়-অপরাধ থাকবেনা। যে সমাজের সর্বস্তরে বইবে ন্যায়ের সুবাতাস।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এখলাসুর রহমান রিয়াদ বলেন, প্রতিটি কাজের জন্য শৃঙ্খলার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি ব্যক্তিগতভাবে একা একা বাতিল শক্তিকে প্রতিহত করতে পারবেন না। এজন্য প্রয়োজন সুশৃংখল আদর্শবাহী এক কাফেলা। আর সেই কাফেলার নাম জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, সিদ্দিকে আকবরের সেই চ্যালেঞ্জ- ‘আমি জীবিত থাকতে আল্লাহর দ্বীনের কোন ক্ষতি হতে দিব না’। আজকে ছাত্র জমিয়ত নেতাকর্মীদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। পূর্বসূরি আকাবিরদের এই জামায়াতকে আরো স্ট্রং করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী সদস্য মুফতি হাবিবুর রহমান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মুফতী শরিফুল ইসলাম কাসেমী, যুব জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক কামাল, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূর হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোস্তাফা ওয়াদুদ, ঢাকা মহানগরীর সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারজানুল বারী সিরাজী, নরসিংদী জেলা সভাপতি বায়েজিদ আহমদ প্রমুখ।