সিলেটশুক্রবার , ২৭ জানুয়ারি ২০২৩
  1. Breaking News
  2. অন্যান্ন
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আজ-কাল
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আমাদের পরিবার
  9. আরও
  10. আলোচিত সংবাদ
  11. ইসলাম
  12. কলাম
  13. কৃতিত্ব
  14. খেলা-ধোলা
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাবেক এমপি মুফতী শহিদুল ইসলাম আর নেই

Ruhul Amin
জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সিলেট রিপোর্টঃবাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা ও মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান আল মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতী শহিদুল ইসলাম (সাবেক এমপি) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মুফতি শহিদুল ইসলাম রহিমাহুল্লাহ এর জানাজার নামাজ বাদ জুমা বাইতুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বারোটার পর তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে হামজা শহীদুল ইসলাম। ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ১টা ৬ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে স্ট্যাটাসে লিখেছেন- “আব্বু আর নেই”।
এরপর রাত দুইটার সময় আল মারকাজুল ইসলামী ‘র ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে বাংলা, ইংরেজি, আরবি ও উর্দু চার ভাষায় জানানো হয়, মুফতি শহিদুল ইসলাম এমপি ইন্তেকাল করেছেন।
১৯৮৮ সালে মুফতি শহিদুল ইসলাম (এমপি) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল মারকাজুল ইসলামী ঢাকাসহ দেশের আনাচে কানাচে পর্যন্ত প্রায় সব রকমের মানবসেবামূলক কাজ করে আসছে। হাসপাতাল, এম্বুলেন্স সার্ভিস থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে মানবসেবামূলক অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠান। বিশেষত করোনা দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণসহ করোনা আক্রান্তদের লাশ দাফন করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে এর অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবক টিম।

মুফতী শহিদুল ইসলাম রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন মিডল ইস্টে বসবাসরত ছিলেন। তবে কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছিলেন।

মুফতি শহীদুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ২০০২ সালের উপনির্বাচনে ইসলামি ঐক্যজোটের মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের
নায়েবে আমির ছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি।

মুফতি শহীদুল ইসলাম ১৫ মার্চ ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের ঝিলটুলী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। তার পিতা শামসুল হক সরদার। তিনি পাকিস্তানের করাচী নিউটাউন মাদরাসা থেকে ১৯৮৮ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জনের পর মুফতী (ইসলামি আইনশাস্ত্রের পণ্ডিত) ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এ দলের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিমে শূরার সদস্য ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে শেখ হাসিনার কাছে ৪ হাজার ২৩৩ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে শহীদুল বিজয়ী হন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক কিংবদন্তি হলেন মুফতি শহিদুল ইসলাম। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন সত্যিকারের আলেম,সমাজ সেবককে হারালো। আমরা গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহপাক মরহুম কে জান্নাতবাসী করুন। আমীন।