বাংলাদেশের বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী, মনির খানের ভক্তবৃন্দ দিয়ে গঠিত মনির খান সংসদের ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ কচিকাঁচা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাইকৃত কন্ঠশিল্পী, অভিনয় শিল্পী, গীতিকার ও সুরকারদের মধ্যে সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সিলেটি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আক্কেল আলী’র ১. শ্যাম কালিয়া, ২. বৃদ্ধাশ্রম ও ৩. উড়াল পাখি এই ৩টি নাটক দেখে বিচারকগণ তাকে মনোনীত করেন। অনুষ্ঠানে আক্কেল আলীর হাতে সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন প্রধান অতিথি জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মনির খান।
কণ্ঠশিল্পী মনির খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আক্কেল আলী ছাড়াও যারা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তারা হচ্ছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী, কন্ঠশিল্পী পলাশ, চলচ্চিত্র অভিনেতা সিবা সানু, মিউজিক ডিরেক্টর ও গীতিকার সুরকার মিল্টন খন্দকার, বিখ্যাত সুরকার ও গীতিকার মুন্সি ওয়াদুদ, বিখ্যাত সুরকার মাকসুদ জামিল মিন্টু।
অনুষ্ঠানে সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাইকৃত কন্ঠশিল্পী, অভিনয় শিল্পী, গীতিকার ও সুরকারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আক্কেল আলীর পুরো নাম হচ্ছে মোঃ দেলোয়ার হোসেন শিপলু (্আক্কেল আলী)। তিনি ৫ জানুয়ারী ১৯৮৬ সালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নেন ভাগমতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নাম মোঃ মোচ্ছাদ্দেল আলী ও মাতা- মমতাজ বেগম। জন্ম কুলাউড়ায় হলেও শিপলু রাহাত বড় হোন সিলেটের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। তার বাবা একজন সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। মা গৃহিণী, ২ ভাই ও চার বোনের মধ্যে শিপলু রাহাত সবার বড়। শিপলু রাহাত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটে কর্মরত আছেন। তার নাটকের যাত্রা শুরু ২০০৫ সালে। জাহিদ রুবেল ও কামরুল চৌধুরীর হাত ধরে তার প্রথম ভিজ্যুয়াল নাটক: যার কপালে যেখান। তারপর তিনি মঞ্চে কাজ করা শুরু করেন। প্রয়াত মাহবুব চৌধুরীর হাত ধরে তার নাট্যালোকে প্রবেশ। সেই থেকে আজ অবদি তিনি সিলেটি আঞ্চলিক নাটক ও মঞ্চ নাটকের সাথে যুক্ত। পাশাপাশি আক্কেল আলী খুব ভালো গান ও গাইতে পারেন। তার বেশ কিছু কাভার গান ইতোমধ্যে সিলেটি ভাষায় মানুষের মন কেড়েছে।
