ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী বুধবার দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্ততি ইতোমধ্যে শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। বিধি অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে বিজয়ী কিংবা পরাজিত প্রার্থী কেউ অংশ নিতে পারবেন না। সে হিসেবে আজ মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নের জন্য গত রবিবার মধ্যরাত থেকে ভোট কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে আরও সাত ধরনের যান চলাচল। এছাড়া ভোটের দিন পর্যন্ত নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেবেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অন্যান্য নির্বাচনের মতোই এ নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।
এছাড়া শৃঙ্খলা জন্য পুলিশ, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ান, ব্যাটালিয়ন আনসার ও আনসার ভিডিপির সদস্য, বিজিবি ও র্যাবও কাজ করবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে বাকি ৬১ জেলায় ভোট হবে। প্রতিটি জেলায় একজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ভোট হবে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২২, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৯ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ১২৪ জন, কাউন্সিলর পদে ২,৯৮৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারা জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
