সিলেটবুধবার , ২১ নভেম্বর ২০১৮
  1. Breaking News
  2. অন্যান্ন
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আজ-কাল
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আমাদের পরিবার
  9. আরও
  10. আলোচিত সংবাদ
  11. ইসলাম
  12. কলাম
  13. কৃতিত্ব
  14. খেলা-ধোলা
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুনামগঞ্জ-৩,সিলেট-৪ সহ ৭টি আসনের দাবিতে ফখরুলকে জমিয়তের চিঠি

Ruhul Amin
নভেম্বর ২১, ২০১৮ ১:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেট রিপোর্ট: কাংখিত আসন না পাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোটে। এনিয়ে জোটের র্দীঘ দিনের সঙ্গি কওমি অঙ্গনের সবচাইতে বড় দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের অর্ধশত র্শীর্ষ আলেম দেশের গুরুত্বপুর্ন কওমি মাদরাসা পরিচালনা করছেন,একই সাথে তারা রাজনৈতিক ময়দানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে জড়িত। উপমহাদেশের আলেমদের প্রাচীনতম সংগঠন হিসেবে পরিচিত জমিয়ত এক সময় ইসলামী ঐক্যজোটের শরিক হিসেবে ৪ দলীয় জোটের অর্ন্তভুক্ত হয়। ২০০৮ সালে ইসলামী ঐক্যজোটকে স্বতন্ত্র দল হিসেবে মুফতি আমিনী নিবন্ধন করিয়ে নিলে জমিয়ত পৃথক ভাবে নিবন্ধন নিয়ে বিএনপির জোটে থাকে। ২০০১ সালে বিএনপি জোটের পক্ষ থেকে জমিয়তকে দুটি আসন দেয়া হয়। একটি হলো যশোর-৫ অপরটি হলো সুনামগঞ্জ-৩। যশোরে দলের মহাসচিব মুফতি মো: ওয়াক্কাস ধানের র্শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। সুনামগঞ্জে শাহীনুর পাশা চেীধুরী উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। মুফতি আমিনীর ইন্তেকালের পরে ইসলামী ঐক্যজোট বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে সরকারের সাথে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়। এই সময়ে কওমি ধারার আলেমদের মধ্যে একমাত্র জমিয়তই বিএনপির সাথে ছিলো-এখনো দলটি রয়েছে। সরকারী তরফে নানা প্রলোভন আসলেও জমিয়ত নেতারা নীতির প্রশ্নে আপোশহীন। আল্লামা আব্দুল মোমিন ও আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোটের কাছে ১৪ টি আসন দাবি করা হয়েছে বলে দলীয় সুত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে দলের মহাসচিব আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীগেরর সাথে বৈঠক করে আসনের বিষয়টি সুরাহার কথা বলেন। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাযনি এখনো। জমিয়ত -বিএনপি ও বিভিন্ন সুত্র গুলোর বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে জানাগেছে, জমিয়তকে দুটি আসন জামায়াতকে ১৫ এবং খেলাফত মজলিসকে ১টি আসনে ছাড় দেয়া হতেপারে। এসব খবরে জমিয়তের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সিলেটে ইতিমধ্যে ভোসমাবেশ করে জমিয়তের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সিলেট বিভাগে ৫ টি আসনসহ মোট ৭টি আসন না দিলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।’।

এদিকে, গতরাত (মঙ্গলবার) নাম প্রকাশ না করার শর্তে জমিয়তের এক র্শীষ নেতা সিলেট রিপোর্টকে জানান, আজ-কালের মধ্যেই বিএনপি মহাসচিবকে জমিয়ত সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ীর পক্ষ থেকে একটি চিঠি হস্তান্তর করা হতে পারে। ঐ চিঠিতে কী আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আসনের বিষয়টি প্রাধান্যপাবে। ধারনা করা হচ্ছে, সুনামগঞ্জ-৩ এবং সিলেট-৪ আসন সহ মোট ৭ টি আসনে জমিয়তকে ছেড়ে দিতে বলা হবে। অন্যান্য  আসনের মধ্যে রয়েছে, সিলেট- ৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ), নীলফামারী- ১ (ডিমলা-ডোমার), কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব),সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লাহ), চট্টগ্রাম- ৫ (হাটহাজারী-চট্টগ্রাম আংশিক) , নেত্রকোনা-৫ (পুর্বধলা),সংসদীয় আসন।

 

উল্লেখ্যযে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম অর্ধশত আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রিকরেছে। বিভিন্ন আসনে যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, সুনামগঞ্জ- ৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনের জন্য মাওলানা এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী ও হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ। হবিগঞ্জ-২ (আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং) আসনের জমিয়ত সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী। সিলেট-১ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন মুফতি আহমাদুল হক, মাওলানা শায়খ আব্দুল আজিজ সিদ্দিকী, হাফেজ মাওলানা মো: রইছ উদ্দিন। সিলেট- ৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের জন্য জমিয়ত সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী। নীলফামারী- ১ (ডিমলা-ডোমার) আসনের জন্য মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। নারায়ণগঞ্জ- ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের জন্য মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী। সিলেট- ৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর-কোম্পানীগঞ্জ) আসনের জন্য মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী। কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) আসনের জন্য আলহাজ্ব আতিকুজ্জামান। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লাহ) আসনে প্রিন্সিপাল মাওলানা শোয়াইব আহমদ । চট্টগ্রাম- ৫ (হাটহাজারী-চট্টগ্রাম আংশিক) আসনের জন্য মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনির। বি-বাড়ীয়া- ২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের জন্য মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব। ঢাকা-৫ (বাড্ডা, রামপুরা, ভাটারা) আসনের জন্য মুফতি মাহবুবুল আলম। গাজীপুর-২ আসনের জন্য মুফতি নাসির উদ্দীন খান। নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের জন্য মাওলানা আব্দুর রহিম। নেত্রকোনা-৫ (পুর্বধলা) আসনের জন্য প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাব হামিদী। নরসিংদি-২ (পলাশ) আসনের জন্য মাওলানা হেদায়াতুল ইসলাম। নেত্রকোনা-৪ সংসদীয় আসনের জন্য মাওলানা রূহুল আমীন নগরী ও মুফতি আনোয়ার হোসাইন । জয়পুরহাট-১ আসনের জন্য মাওলানা বোরহান উদ্দীন। নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া ) আসনের জন্য মাওলানা মফিজুর রহমান । বি-বাড়ীয়া-৩ (সদর-বিজয় নগর) আসনে মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী,নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আলহাজ¦ হাফেজ মো: রইছ উদ্দিন। নেত্রকোনা-২ আসনে মুফতি আনিসুর রহমান। সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) আসনে মাওলানা জামিলুর রহমান চৌধুরী। সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর,ধর্মপাশা,মধ্যনগর) আসনে মাওলানা মুশতাক আহমদ মনোনয়নপত্র কিনেছেন।