সিলেটবৃহস্পতিবার , ১৩ এপ্রিল ২০১৭
  1. Breaking News
  2. অন্যান্ন
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আজ-কাল
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আমাদের পরিবার
  9. আরও
  10. আলোচিত সংবাদ
  11. ইসলাম
  12. কলাম
  13. কৃতিত্ব
  14. খেলা-ধোলা
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কঠোর নিরাপত্তায় তিন জঙ্গির দাফন সম্পন্ন

Ruhul Amin
এপ্রিল ১৩, ২০১৭ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট :

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ নিজ বাড়িতে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। এদের মধ্যে মুফতি হান্নানকে তার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন গ্রাম, বিপুলকে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের বকশি পাটওয়ারী বাড়িতে এবং রিপনকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

সিলেট কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়া রিপনের মরদেহ কুলাউড়া উপজেলার কোনাগাঁও গ্রামে পৌঁছায় রাত সোয়া ১২টার দিকে। পরে কোনাগাঁও শাহী ঈদগাঁহ ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার পর মুফতি হান্নানের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি তার বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনটি গাড়ি ছিল। ভোর পৌনে ছয়টার দিকে মুন্সীপাড়া বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানা ময়দানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এছাড়া ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিপুলের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি চাঁদপুর সদর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। বকশি পাটওয়ারী বাড়ির উঠানে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। তিনজনের মরদেহ দাফনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাত ১০টার দিকে তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এদের মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদ বিপুলের এবং রাত ১০টা ১ মিনিটে সিলেট কারাগারে দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্য‌কর করা হয়।

গাজীপুরে একই মঞ্চে মুফতি হান্নান ও বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করেন কয়েদি রাজু এবং সাকু মিয়া। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস এম আলম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ, সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলম।

ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১২টার পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুফতি হান্নান ও বিপুলের মরদেহ আলাদা দুটি অ্যাম্বুলেন্সে বের করে আনা হয়। পরে হান্নানের মরদেহ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এবং বিপুলের মরদেহ চাঁদপুরের বাড়িতে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে রাত ১০টা ১ মিনিটে সিলেট কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন কারা কর্তৃপক্ষসসহ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জন। রাত পৌনে ১১টার দিকে কারাগার থেকে রিপনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি বের করে আনা হয়।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হজরত শাহজালাল (রা.)- এর মাজারে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ওই হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।

ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলে রায় বহাল থাকলে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তারা। গত ১৯ মার্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরপর দায় স্বীকার করে গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি তিনজনের আবেদনই নাকচকরে দেয়।সোমবার রাষ্ট্রপতির নাকচের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নেয়।