সিলেট রিপোর্ট ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নাঈম ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুন) ভোররাতে সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার সকালে নাঈমের বাবা বসু মিয়ার (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলের অপকর্মের গ্লানি সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল কবির জানান, ২০ জুন শালগাঁও নাঈমের বাড়ি থেকে তার শ্যালিকা তামান্না আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তামান্না পৌর এলাকার আমিনপুরের নোয়াব মিয়ার মেয়ে। এই ঘটনায় নাঈমকে আসামি করে মামলা দিয়েছেন তামান্নার মা।
তামান্নার বড় বোন নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার জানান, নাঈম ও তার বাবা বসু মিয়া জেলা শহরে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। ১৯ জুন তামান্নাকে তাদের বেড়াতে আসতে বলে নাঈম। রাতে তার শ্বশুর কাজে গেলেও নাঈম যায়নি। কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাঈম জানায়, সকালে ঢাকায় যাবে তার মাকে আনতে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তাদের মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ায়। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বলে। সে না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনও সাড়া দেয়নি। তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত। বিষয়টি জানাজানি হলে নাঈম পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর নাইমের বাবা বসু মিয়া ২১ জুন রাত ৮টার দিকে গোসাইপুরে তার খালাতো ভাই শহিদ মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। ২২ জুন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নবীনগর থানার এসআই রনি জানান, ধারণা করছি ছেলের অপকর্মের গ্লানি সইতে না পেরে বসু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।