ডেস্কত রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের প্রতিবাদের দিন শেষ। এখন প্রতিরোধ এবং প্রতিশোধ নিতে হবে। শুধু চাপার জোর দেখালে হবে না। চাপার জোর দেখায় আওয়ামী লীগ।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে যুব জাগপা কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কয়েকদিন থেকে সরকারের চাপা বন্ধ আছে। তারা এখন নীরব, খালি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা ইনু লাফাইতেছে। যিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
জঙ্গিবাদ নিয়ে গয়েশ্বর বলেন, এখন যে নিয়মিত জঙ্গিবাদের কথা শুনছি এটি নিয়েও মানুষের মধ্যে সন্দেহ আছে। দেশের মানুষ এটিকে সন্দেহের চোখে দেখে। দেশের যে সামরিক চুক্তির প্রয়োজন সেটিকে বোঝানোর জন্য জঙ্গি হামলা করছে। চুক্তি হওয়ার জন্য কিছু ঘটনা ঘটার দরকার আছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, এখনও সময় আছে, আপনি তো দেশটাকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করেন। পৈতৃক সম্পত্তি জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হয়। দেশটাকে বাঁচান। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি না করে প্রয়োজন হলে জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা জোর দিয়ে বলা হচ্ছে না। কিন্তু ভারতের পত্রিকায় প্রকাশ করছে এই চুক্তিতে কি হতে চাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে পারে এমন দেশতো দেখি না। আমাদের তিনদিকে ভারত একদিকে সাগর। তবে কি ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা আছে? যদি থাকে তবে তাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি কেন?
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী কি দুর্বল হয়ে গেছে যে অন্য দেশের সহযোগিতা নিতে হবে। সামরিক চুক্তি করতে হলে সেনাবাহিনী, দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিশেষ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে দিল্লি যাবেন। তবে এখন তিস্তার পানি চুক্তি, সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের চুক্তি হতে পারে।
সংগঠনের সভাপতি ফাইজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলবার্ট পি কস্টা প্রমুখ।